পদ্মার পলি বিধৌত পললে গঠিত এই হাবাসপুর ইউনিয়ন। রাজবাড়ী জেলার,পাংশা উপজেলায় অবস্থিত হাবাসপুর ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ ছিল কৃষক। ব্রিটিশ শাসনামলের আনুমানিক ১৯৪৪ সালে প্রথম বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার অধীনে বর্তমান রাজবাড়ী জেলা পাংশা উপজেলা হাবাসপুর ইউনিয়ন, ১২টা গ্রাম নিয়ে হাবাসপুর ইউনিয়ন গঠিত হয়। ঐ সময়ে ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান কে গ্রাম প্রেসিডেন্ট বলা হত। ১৯৫০ সালে পাকিস্তান শাসনামলে গ্রাম প্রেসিডেন্ট এর পদকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদবী ঘোষণা করা হয়। ১৯৫৪ সালে প্রথম গ্রাম প্রেসিডেন্ট হন শরফ উদ্দিন বিশ্বাস। তারপর পর্যায়ক্রমে রোস্তম আলী খান,বিকেশিন্দু কুন্ডু এর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান মহকুমা জুরি বোর্ড এর সদস্য গফুর বিশ্বাস সরকার প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান মনোনীত হন এবং তিনিই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পরবর্তী সময়ে আব্দুল লতিফ খান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে তৎকালীন জেলা প্রশাসক হাবাসপুর ইউনিয়ন। বর্তমানে ১২ টি ছোট বড় গ্রাম মিলিয়েই হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ। এই হাবাসপুর ইউনিয়নের মাতৃকলে রয়েছে বিদ্ধস্থ পদ্মা নদী ,যে নদী নিয়ে মানিক বন্দোপাধ্যয় রচনা করেন "পদ্মা নদীর মাঝি"। এই পদ্মা পারের মানুষ হয়েও যারা সুনাম ধন্য, ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম তারাই প্রথম । তারা হচ্ছে ১। বাবু ভুলানাথ সাহা ২।ডা. প্রফেসর কে,এম মোহসীন ৩।ড. প্রফেসর এ, সানাউল্লাহ ৪।ড.গোলাম রব্বানী ।